ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

adbilive
adbilive
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলে রাজনীতি করব না: পার্থ

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলে রাজনীতি করব না: পার্থ

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, "আগামী ১৮ মাসে দেশের রাজনীতি নির্বাচনমুখী হবে। রোজা ও কোরবানি ঈদের পর আমরা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ব, তবে বর্তমান সরকারের সংস্কারের দিকে কোনো আলাপ-আলোচনা হবে না। আওয়ামী লীগ এখন আর তার রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য হারিয়েছে। তারা রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় আসছে, যার ফলে দলের নেতাদের নৈতিক ভিত্তি ম্লান হয়ে গেছে।" তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের হাতে অতিরিক্ত অত্যাচার, নির্যাতন ও লুটের ইতিহাস রয়েছে, আর এই মুহূর্তে তাদের মধ্যে কোনো নেতা নেই, যারা দলটির ইমেজ পুনরুদ্ধার করতে পারে। আওয়ামী লীগ এখন জনগণের কাছে মির্জাফর লীগের মতো প্রমাণিত হয়েছে।" পার্থ আরও বলেন, "আওয়ামী লীগের নেতারা যদি নিজেদের দায়িত্ব গ্রহণ না করেন এবং এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেন, তবে তারা ভবিষ্যতে রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে না। বর্তমান সরকারের শাসনামলে সিস্টেমটি সম্পূর্ণভাবে করাপ্ট হয়েছে, এবং এতে দেশকে চালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।" তিনি উল্লেখ করেন, "বাংলাদেশকে ভালো করতে হলে, ভালো মানুষদের রাজনীতিতে আসতে হবে। প্রথমত, হত্যার বিচার করতে হবে, তারপর জনগণের সম্পদ ফেরত আনতে হবে। যদি এটি না করা হয়, তবে দেশ কোথাও যাবে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলে, আমি রাজনীতি করব না।" ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/7pqqKtsvtfY?si=tvaXi-8mZNV58qgt

ফেল করা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অধ্যক্ষের কক্ষে তালা

ফেল করা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অধ্যক্ষের কক্ষে তালা

পরীক্ষায় ফেল করে রাজশাহী নার্সিং কলেজের ১৪ শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করেছে। শুধু অপসরণই নয়, কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিয়ে তারা বিক্ষোভ করেছেন। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নার্সিং কলেজের মধ্যে ফেল করা এ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। একই সময় ক্লাস চালু রাখা, কলেজের মধ্যে বিক্ষোভ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাল্টা বিক্ষোভ করেছে। দু’পক্ষের বিক্ষোভে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এক পর্যায়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও রাজপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গেছে, রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) অধিভুক্ত নার্সিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের বিএসসি ইন নার্সিং চূড়ান্ত পরীক্ষা গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৫ জানুয়ারি এ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এ পরীক্ষায় রাজশাহী নার্সিং কলেজ থেকে ১৪ শিক্ষার্থী কমিউনিটি হেলথ বিষয়ে ফেল করে। ফেল করার বিষয়টি ১৪ জন শিক্ষার্থী জানতে পেরে ১৬ জানুয়ারি কলেজের অধ্যক্ষের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রেক্ষিতে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেল করা ১৪ জন শিক্ষর্থী কলেজের অন্য শিক্ষার্থীদের হাত করে আন্দোলন করার চেষ্টা করে। কিন্তু ফেল করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ কোনো শিক্ষার্থী যোগ না দেয়ায় ১৪ জন শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করে। এদিকে ১৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করার প্রতিবাদে কলেজের অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক জোট হয়ে ফেল  করা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। ক্লাস চালু রাখা ও অধ্যক্ষের পক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা  বিক্ষোভ মিছিল বের করলে ১৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। এমন কি মারমুখী আচরণ করেন তারা। এতে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে রাজপাড়া থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ও রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মদ ফেল করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের কথা শোনেন। তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন পরিচালক। পরে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা নার্সিং কলেজ ছেড়ে চলে যায়। রাজশাহী নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ ফয়েজুর রহমান বলেন, যারা ফেল করার পরের দিনই আমার কক্ষে তালা দিয়েছে। আমি তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছি কিন্তু তারা আমার সঙ্গে বসেনি।  আমার সঙ্গে তাদের বসা উচিত ছিল। তা না করে আমার কক্ষে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা ও বিক্ষোভ করার মতো কোনো কিছু নেই। কারণ আগামী ৪০ দিনের মধ্যে ফেল করা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে।

জেরিন কাশফী রুমার অ্যাওয়ার্ড লাভ

জেরিন কাশফী রুমার অ্যাওয়ার্ড লাভ

নিউইয়র্কের কুইন্স  থিয়েটার  অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় শো টাইম মিউজিক আয়োজক সংস্থার আয়োজনে ঢালিউড ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠান। এতে অসামান্য অভিনয়ের জন অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন মঞ্চ অভিনেত্রী জেরিন কাশফী রুমা। সময় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর ‘শেষ সংলাপ’ নাটকে মহাতারেমা চরিত্রে অসামান্য অভিনয়ের জন তাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। শো টাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলমের সভাপতিত্বে বিপুলসংখ্যক দেশ-বিদেশের শিল্পীদের উপস্থিতিতে অভিনেত্রী রুমার হাতে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন অভিনেতা-মডেল ও গায়ক জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন,  অভিনয় জীবনে আমার এই অর্জন এক অর্থে সব থিয়েটার কর্মীরই অর্জন। মিডিয়ার সকল শাখার পাশাপাশি থিয়েটার শাখাকে এ রকম অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরির আয়োজনে অন্তর্ভুক্তি করা, আমাকে মনোনয়ন দেওয়া এবং সম্মানিত জুরি সদস্যদের বিবেচনায় নির্বাচিত করায় আয়োজক সংস্থা পরিবারের সকল সদস্য এবং শো টাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম ভাইয়ের প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

মাঘে সুন্দর কেশ

মাঘে সুন্দর কেশ

শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়া, শুষ্ক বাতাস এবং আর্দ্রতার অভাবে চুল রুক্ষ, ভঙ্গুর ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। চুল ভাঙা এবং খুশকি এই মৌসুমে সাধারণ সমস্যা। তবে সঠিক যত্ন ও নিয়ম মেনে চললে শীতেও আপনার চুল বা কেশ মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব। এ বিষয়ে শোভনস মেকওভারের কসমেটোলজিস্ট শোভন সাহা জানান, একজন হেয়ার এক্সপার্টের সঙ্গে কথা বলে আগে জানতে হবে চুল কেন ভাঙছে। কারণ চুল অনেক কারণে ভাঙে। কেমিক্যাল ড্যামেজের কারণে ভাঙে, আবার অনেক সময় চুল অনেক দিন ধরে না কাটা হলে স্পিলিটেন্স থেকেও চুল ভাঙতে পারে। তাই এক্সপার্টকে দেখানো জরুরি। হেয়ার প্যাক চুলের যত্নে শীতেও হেয়ার প্যাক লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন শোভন সাহা। তিনি বলেছেন, যে কোনো প্যাক লাগালে ঠান্ডা লাগবে, এটি খুবই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে  মাথায় প্যাক লাগিয়ে রোদে বসতে পারেন। প্যাক লাগাতে হবে চুলের ধরন অনুযায়ী। যেমন– আপনার চুলে খুশকি আছে কি না, চুল রাফ কি না সেটি বুঝে আপনাকে প্যাক নির্বাচন করতে হবে। তেল মালিশ চুলের রুক্ষতা দূর করতে তেল মালিশ খুব উপকারী। শীতে হট অয়েল ম্যাসাজ করতে পারবেন। এতে আপনি খুব রিল্যাক্স হবেন, ব্লাড সার্কুলেশনও খুব ভালো হবে। চুলে নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন। চুলের গোড়ায় তেল ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার হাল্কা গরম তেল ব্যবহার করুন। অয়েল ম্যাসাজের পর ভালোভাবে শ্যাম্পু করবেন। শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার, সিরাম অবশ্যই দিতে হবে। পার্লারে গিয়ে আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী হেয়ারে স্পা করতে পারেন। তা ছাড়া বাসার থেকে পার্লারে যাওয়াটা আরামদায়কও। কারণ সেখানে গরম পানি দিয়ে চুল ভালোভাবে ওয়াশ কওে, তাই ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি কমবে। শীতে চুলের রুক্ষতা ও ভাঙন প্রতিরোধ করতে যা করবেন- সঠিক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার শীতে অতিরিক্ত শ্যাম্পু করার ফলে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়। তাই সপ্তাহে ২-৩ বার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পুর পর সঠিক কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সালফেট ও প্যারাবেনমুক্ত পণ্য চুলের জন্য নিরাপদ। গরম পানি এড়িয়ে চলুন গরম পানি চুলের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়; ফলে চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে। চুল ধোয়ার জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। ধোয়ার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল শেষবার ধুয়ে নিন। এটি চুলের কিউটিকল সিল করে। হেয়ার মাস্ক ব্যবহার ঘরোয়া উপাদান দিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন। যা চুলে পুষ্টি জোগাতে পারে। মাস্ক হিসেবে দই ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এটি চুল নরম ও উজ্জ্বল করবে। ডিমের সাদা অংশ ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে লাগালেও চুলের রুক্ষতা কমে। দই মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখে এবং মধু ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। এক কাপ দইয়ের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। ২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।   চুলে খুশকি হলে খুশকি মাথার ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা, যা শীতকালে আরও বেড়ে যায়। এটি চুলের গোড়ায় চুলকানি, শুষ্কতা এবং অতিরিক্ত সাদা আবরণের মতো সমস্যার সৃষ্টি করে। সঠিক যত্ন ও নিয়মিত পদ্ধতি অনুসরণ করলে খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। মেথি পেস্ট মেথি বীজ খুশকির সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকর। ২-৩ চামচ মেথি বীজ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন এটি পেস্ট করে মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। লেবু ও নারিকেল তেল লেবুর অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান খুশকি দূর করতে সহায়তা করে। ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেলে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ২০-৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা অ্যালোভেরা ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে ফাঙ্গাল সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। অ্যালোভেরা জেল মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। টি ট্রি অয়েল টি ট্রি অয়েল অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণে সমৃদ্ধ। ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল শ্যাম্পুতে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে খুশকি কমবে। ভিনেগার ভিনেগার খুশকির সেবোরিয়িক ডার্মাটাইটিস প্রতিরোধ করে। এক কাপ পানিতে দুই টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত তাপ প্রয়োগ এড়িয়ে চলুন শীতকালে হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার বা কার্লারের মতো গরম যন্ত্র ব্যবহারে চুল আরও শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। প্রাকৃতিকভাবে চুল শুকানোর অভ্যাস করুন। যদি হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতেই হয়, তবে তাপমাত্রা কমিয়ে নিন এবং হিট প্রোটেক্ট্যান্ট ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় সুষম খাবারের বিকল্প নেই। ভিটামিন-ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডসমৃদ্ধ খাবার যেমন– বাদাম, মাছ, ডিম ও অলিভ অয়েল খান। প্রচুর পানি পান করুন এবং শীতের ফল ও সবজি খাদ্য তালিকায় রাখুন।

ফ্যাশনে ডেনিম

ফ্যাশনে ডেনিম

হাল ফ্যাশনে তরুণ-তরুণীরা বিশ্বের সঙ্গে চলছে তাল মিলিয়ে। তাদের কাছে শীত মানেই বাহারি ও নান্দনিক পোশাকের সমাহার। তবে ফ্যাশন এখন আর কোনো বয়সের ঘরে আটকে নেই। সব বয়সের নর-নারী পড়ছে ফ্যাশনেবল পোশাক। প্রতি বছরই শীত ফ্যাশনে যোগ হয় নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক। গত এক দশকে ডেনিম কাপড়ের তৈরি পোশাকের চাহিদা বেড়েছে অনেক। বিশেষত শীতে ডেনিমের জ্যাকেট পরতে পছন্দ করেন নারী-পুরুষ উভয়ই। কেননা এটি দেখতে যেমন স্মার্ট তেমনি ফ্যাশনাবলও। আজ থেকে দুই দশক আগেও ডেনিমের পোশাক পরার প্রচলন ছিল না বললেই চলে। তখন মেয়েদের জন্য কার্ডিগান এবং পুরুষের জন্য সোয়েটার ও জ্যাকেট বেশি প্রচলিত ছিল। আজকাল ফ্যাশনে কারুকাজ সম্পন্ন ডেনিম জ্যাকেটের চাহিদা বেশ। এই জ্যাকেট এক সময় খুব দামি ছিল। বিশেষত লেদার আর ডেনিম কাপড়ের তৈরি জ্যাকেট। ডেনিমের জ্যাকেটে সুতা ও অ্যাম্ব্র্রয়ডারি ওয়ার্ক এখন খুবই ট্রেন্ডি। আদি ফেব্রিকের মধ্যে ডেনিম যেন চিরসবুজ। ডেনিমের অম্লান পথ চলা আঠারো শতক থেকে। বিভিন্ন  অনলাইন পেজেও সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাচ্ছে ডেনিমের পোশাক। বছরজুড়ে ডেনিম পোশাকের গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও হাল্কা শীত পড়তেই এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এক সময় ডেনিমের শুধু জিন্স প্যান্ট তৈরি করা হলেও বর্তমানে ডেনিমের শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট, হাফপ্যান্ট, জগার, জ্যাকেট, স্যুট এমনকি পাঞ্জাবি, টপস, ব্লাউজ, কুর্তি ও শাল তৈরি করছে ফ্যাশন হাউসগুলো। এর মধ্যে রয়েছে স্লিভলেস, ফুলস্লিভ, শর্টস্লিভ, পাফি স্লিভ ও কোল্ড শোল্ডারের পোশাক। লং, মিডি, মিনি, পেন্সিল, ঢোলা প্রায় সব রকমের স্কার্টও পাওয়া যায়। এ ছাড়া পাওয়া যায় টপস ও কুর্তা। পাশাপাশি শিশুদের জন্যও তৈরি করা হয়েছে নান্দনিক পোশাক। আবহাওয়া ও সবার চাহিদা মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলোও ডেনিম পোশাকে নিয়ে এসেছে নানা বৈচিত্র্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডেনিমের রঙেও এসেছে পরিবর্তন। ডেনিম এখন আর শুধু চিরাচরিত নীল রঙে আটকে নেই। লাইট ব্লু, সাদা, অ্যাশ, ওশান ব্লু, ইন্ডিগো, ওলিভ, কালোসহ নানা রঙে ফুটে উঠেছে ডেনিমের তৈরি পোশাকগুলো। ছেলেদের ফ্যাশনে বেশি দেখা যায় স্ট্রেটকাট, বুটকাট, লেগকাট, ব্যাগি জিন্স, ছেঁড়াফাটা ও ঝলসানো ট্রেন্ড। মেয়েদের পোশাকে অ্যাম্ব্রয়ডারি, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ফ্লোরার প্রিন্ট ছাড়াও রয়েছে টাই-ডাইয়ের ব্যবহার। এমনকি জামদানি মোটিফও খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে ডেনিমে। অনেক পোশাকে পুঁতি, চুমকি ও গামছা প্যাচওয়ার্ক দেখা যায়। কুশিকাঁটার লেইসের মিশেলে ডিজাইন করা হয় ডেনিম পোশাক। ফ্যাশন ডিজাইনারদের থেকে জানা যায়, গতানুগতিক ডিজাইন থেকে অনেক আগেই বেরিয়ে এসেছে ডেনিমের পোশাক। এখন অভিনব ডিজাইন ও সৃজনশীল ডেনিমের পোশাক তৈরি করা হচ্ছে। প্রযুক্তির কল্যাণে শুরুর সেই মোটা ডেনিম এখন চিকন সুতায় বোনা হয়। ক্যাজুয়াল, ফরমাল এবং সেমি ফরমাল- এ তিনটি লুকেই ডেনিম পোশাক পাওয়া যায় বলে এটি সর্বকালেই সমাদৃত। ডেনিম পোশাক এখন অফিস, মিটিং, উৎসব, ভ্রমণ সব জায়গার জন্যই মানানসই। ১৮৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়তা লাভ করে ডেনিমে তৈরি জিন্স প্যান্ট। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। ‘পৃথিবীর আদি ফেব্রিক বা কাপড়গুলোর মধ্যে ডেনিম অন্যতম পুরনো হলেও এর যৌবন চিরন্তন’ ১৯৬৯ সালে ‘আমেরিকান ফেব্রিকস’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এ কথাটি একদম সত্য। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও বেশ দাপটের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে ডেনিম। ডেনিম ব্যবহারের সুবিধা : ডেনিম ফেব্রিক খুব শক্ত হওয়ায় এটি সহজে ছিঁড়ে যাওয়া বা ফেটে যাওয়ার ভয় থাকে না। এতে সহজে ক্র্যাচ পড়ে না। আয়রন ছাড়াই ডেনিম ফেব্রিকের তৈরি পোশাক ব্যবহার করা যায় অনেক দিন। এটি ময়লা হলেও সহজে চোখে পড়ে না। সে জন্য ঘন ঘন ধোয়ার প্রয়োজন হয় না। ডেনিমের বৈচিত্র্য : ডেনিম পণ্য এখন প্রায় সব বয়সী মানুষই ব্যবহার করছে। নারীর হ্যান্ডব্যাগ, স্কুল এবং কলেজ ব্যাগ, ভ্রমণ ব্যাগ তৈরির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ডেনিম। সুতরাং দিন দিন বাড়ছে ডেনিমের পরিসীমা। ডেনিম দিয়ে টুপি, বেল্ট, বুট, অ্যাথলেটিক জুতা, ডেনিম ওয়াইন ব্যাগ, ডেনিম পেন্সিল কেস, ডেনিম  অ্যাপারন, ডেনিম গিলস ও ল্যাম্পশেডসহ  বিভিন্ন গৃহসজ্জার সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া সানগ্লাস ফ্রেম তৈরি করতেও ব্যবহৃত হচ্ছে ডেনিম। কোথায় পাবেন : ব্র্যান্ড এর ডেনিম পোশাক পেতে যেতে হবে যমুনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে। এছাড়া দেশীয় অনেক ফ্যাশন হাউসেও পাওয়া যায় ভালো কোয়ালিটির ডেনিমের পোশাক। নন ব্র্যান্ডেড পোশাক পাওয়া যাবে নিউ মার্কেট, নূরজাহান মার্কেট, বঙ্গবাজার, গাউছিয়াসহ যে কোনো শপিং মলে।