ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

adbilive
adbilive
এক লাখ টন বোমা ফেলেছে ইসরাইল

এক লাখ টন বোমা ফেলেছে ইসরাইল

ফিলিস্তিনের গাজায় ১৯ মাস ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইল। এই সময়ে গাজা উপত্যকাজুড়ে ১ লাখ টনের বেশি বোমা ফেলেছে ইসরাইল। একই সময়ে ১২ হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। বৃহস্পতিবার মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি হামলায় একদিনে আরও ১০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও  চার শতাধিক। এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার ৮০০ জনে পৌঁছে গেছে। খবর আলজাজিরার। এদিকে আবারও বিক্ষোভে উত্তাল নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনের সমর্থনে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। তবে আগের মতোই পুলিশি বাধার মুখে পড়েছে বিক্ষোভ। অন্তত ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া যুদ্ধে ইসরাইলের অবিরাম বোমাবর্ষণে ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, যাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা অজানা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরাইল ১২ হাজারের বেশি গণহত্যা চালিয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৯২৬টি গণহত্যা চালানো হয়েছে ফিলিস্তিনি পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য করে। এতে ২ হাজার ২০০টি পরিবার সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এবং ৬ হাজার ৩৫০ জনের নাম সিভিল রেজিস্ট্রি থেকে মুছে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের অভিযানে কবরস্থানগুলোকেও লক্ষ্য করা হয়েছিল, যেখানে ইসরাইলি বাহিনী গাজার কবর থেকে ২ হাজার ৩০০টি মৃতদেহ চুরি করে হাসপাতালের ভেতরে সাতটি গণকবর স্থাপন করেছিল। যার মধ্যে ৫২৯টি এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী ধর্মীয় ও মানবিক অবকাঠামোও ধ্বংস করেছে। ইসরাইলি বাহিনী ৮২৮টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে এবং ১৬৭টি আংশিক ধ্বংস করেছে। তিনটি গির্জাকে লক্ষ্য করে এবং ৬০টির মধ্যে ১৯টি কবরস্থান সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করেছে। এদিকে গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে রাশিয়ার ৮০তম বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মস্কো পৌঁছেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।

নীতির ধারাবাহিকতা থাকলে মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব ॥ গভর্নর

নীতির ধারাবাহিকতা থাকলে মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব ॥ গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির ধারাবাহিকতা ও সরকারি প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে দেশে মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নারী উদ্যোক্তাদের সমাবেশ, পণ্য প্রদর্শনী ও মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ। গভর্নর বলেন, ‘আমরা যদি একদিকে টাকা ছাপি আর অন্যদিকে বলি মূল্যস্ফীতি কমছে নাÑ তা হলে তো হবে না। আমাদের কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। মূল্যস্ফীতি কমছে, তবে সময় লাগছে। ধীরে ধীরে এটি আরও কমে আসবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক সময় দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ১৪ শতাংশ, এখন তা নেমে এসেছে সাড়ে ৮ শতাংশে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ১২ শতাংশের বেশি, এখন তা প্রায় ৯ শতাংশ। আমরা আশাবাদী সঠিক নীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি আরও কমানো সম্ভব।’ নারীদের অগ্রগতির প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘নারীদের সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি। ঋণ নিতে গিয়ে তারা এখনো নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়েন। নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মা-বোনদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হতো, এখন তা সময়োপযোগী নয়। নারীদের রান্নাঘর থেকে বের করে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে যুক্ত করতে মানসিকতার বড় পরিবর্তন প্রয়োজন। বর্তমানে ব্যাংক খাতে মোট ঋণের মাত্র ৬ শতাংশ নারীদের হাতে যাচ্ছে, এটি যথেষ্ট নয়।’ নারীদের ঋণ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘ঋণ দিতে হবে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে। শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফান্ড বাড়িয়ে নয়, বরং নারীদের অধিকার বিবেচনায় নিয়েই উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি, তাদের আর্থিক সচেতনতা বাড়ানোও জরুরি।’ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, নির্বাহী পরিচালক মো. খসরু পারভেজ, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং এসএমই ও স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা। উল্লেখ্য, সিএমএসএমই খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে এই চার দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মেলা চলবে ১১ মে পর্যন্ত। এতে বিভিন্ন জেলা থেকে ৬৮ জন নারী উদ্যোক্তা পণ্য নিয়ে অংশ নিয়েছেন। শেষ দিনে ছয়জন নারী উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দেওয়া হবে।