ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অর্থনীতি সঠিক জায়গায় ফেরানো হচ্ছে

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা
অর্থনীতি সঠিক জায়গায় ফেরানো হচ্ছে

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে উপদেষ্টারা বলেছেন, পূর্বের যেসব জঞ্জাল পেয়েছি, সেগুলো আগে পরিষ্কার করতে হচ্ছে। পূর্ববর্তী সরকারের সময় নেওয়া সব প্রকল্পেই দুর্নীতি হয়েছে, তারপরও আমরা সব ক’টি বাদ দিতে পারিনি। নিত্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনায় গড়ে উঠেছিল অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট।  এসব সমস্যা তো একদিনে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। তবে মেঠোপথ পেরিয়ে মহাসড়কে ওঠার যাত্রা শুরু হয়েছে মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যে পদচিহ্ন রেখে যাব (ফুটপ্রিন্ট) আশা করছি- পরবর্তীতে যারা আসবে তারা সেটা বাস্তবায়ন করবে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দাবি করেছেন, এটা সম্পূর্ণ বাস্তবায়নযোগ্য, বাস্তবসস্মত ও মিতব্যয়ী বাজেট।

লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক

লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক

পবিত্র  মক্কা নগরী অসংখ্য মসজিদ ও আজানের শহর, নানা হোটেল ও অপরূপ মার্কেটের শহর, সুউচ্চ এবং দৃষ্টিকাড়া ইমারত আর চারপাশে লাখ লাখ কবুতরের বাক্বাকুম আওয়াজ ও গুনগুনানির শহর। এ নগরকে হাজি, ওমরাহকারী ও দর্শনার্থীদের জন্য আরাম-আয়েশসম্পন্ন, নিরাপদ করার স্বার্থে বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী দেশটির নানা কোশেশের অন্ত নেই। এজন্য প্রতিবছর বিরামহীন চলছে নগরীতে নির্মাণ কাজ। কোনো সুরম্য ভবন একটু প্রশ্নের সম্মুখীন হলেই নির্দয়ভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিক দিয়ে মক্কা শহরকে ভাঙা-গড়ার শহরও বলা যায়। এতসব আয়োজন সত্ত্বেও প্রচুর  অপচয় ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাহীনতার বিষয়টি চিন্তাশীল মহলে এড়িয়ে যায় না।  পবিত্র কা’বা ঘরের দক্ষিণ প্রবেশপথ সংলগ্ন এলাকায় বর্তমানে অবস্থিত মক্কা রয়েল টাওয়ার বা আবরাজ আল বাইত পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণীয়  স্থাপনা। ৭৬তলা বিশিষ্ট এক হাজার ৯৭২ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন এ টাওয়ারের একেবারে শীর্ষে গড়ে তোলা হয়েছে ১৩০ ফুট রাজকীয় ঘড়ি যা ১৭ কিলোমিটার দূর থেকে সময় দেখা যায়। চন্দ্র পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, মুসলিম ঐতিহ্য সংরক্ষণে জাদুঘর এবং হজ ও ওমরাহ পালনকারী পুণ্যার্থীদের জন্য তিন হাজার অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত কক্ষ এ টাওয়ারের বৈশিষ্ট্য। সৌদি আরবের খ্যাতনামা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বিন লাদেন গ্রুপ ২০০৪ সালে এ টাওয়ারের নির্মাণ কাজ শুরু করে। ফ্লোরের সর্বমোট স্পেস হচ্ছে এক কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুট যা আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনালের সমান।

adbilive
adbilive
সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় জামায়াত

সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায় জামায়াত

দেশেরে চলমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সম্মেলনে সংস্কার, নির্বাচন, বিচারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’-এ তিনি বলেন, সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে সক্ষমতার প্রমাণ করতে হবে। আমরা জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সময় বেঁধে দেওয়ার পক্ষে নয়।  নির্বাচন কীভাবে হবে এমন প্রশ্ন রেখে শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম কেয়ারটেকার সরকারের রূপরেখা দিয়েছিলেন। এর ভিত্তিতে একানব্বইয়ের নির্বাচন হয়। যা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন। আওয়ামী লীগকে আজীবন ক্ষমতায় রাখতে আদালতের মাধ্যমে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা খতম করা হয়েছিল। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ধ্বংস করতে কেয়ারটেকার ব্যবস্থা খতম করা হয়েছিল। এর পরিণতি বাংলাদেশ ১৫ বছর ভোগ করেছে। জামায়াতের আমির বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অনেক কূটনৈতিক বন্ধু বলেছিলেন, তাদের পরীক্ষা কর- সুষ্ঠু নির্বাচন দেয় কিনা।

বাজেটে নয়া বন্দোবস্তের প্রতিফলন ঘটেনি ॥ নাহিদ

বাজেটে নয়া বন্দোবস্তের প্রতিফলন ঘটেনি ॥ নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকার বর্তমান সময়ের অর্থনীতির সমস্যাগুলো অ্যাড্রেস করতে পেরেছে। কিন্তু তার প্রোপার সলিউশন বা স্ট্র্যাটেজি বা যেই বৈষম্যহীন ভিশনের কথা আমরা বলছি, এক বছরের জন্য বাজেট হলেও বাস্তবভিত্তিক, নতুন বন্দোবস্তের যে আকাক্সক্ষা, অর্থনৈতিক রূপান্তরের আকাক্সক্ষার-এগুলোর পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি বলে আমরা মনে করি। মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে দলটির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন তিনি। নাহিদ ইসলাম বলেন, আগের যে অর্থনীতির কাঠামো, যে লুটপাটের অর্থনীতি এবং ঋণগ্রস্ত অবস্থা ছিল সেই অর্থনীতির বাস্তবতায় সরকারকে পরিচালিত হতে হচ্ছে এবং বাজেট উপস্থাপন করতে হয়েছে। আগের অর্থনীতির কাঠামোর অনেক ছাপ এই বাজেটের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া নতুন বাংলাদেশে আমাদের আকাক্সক্ষা ছিল ধনী-গরিবের আয় বৈষম্য কমে আসবে। কিন্তু এই বাজেটে আমরা আয় বৈষম্য কমানোর কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখিনি। করদাতার সংখ্যা যেটি আগে ছিল, সেটিই বিদ্যমান। যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দেন, তাদের করের আওতায় আনার কার্যকর কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি। ফলে নি¤œবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের ওপর যে করের চাপ ছিল সেটি অব্যাহত থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের আন্দোলন থেকেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সূত্রপাত। ফলে তরুণদের ব্যাপকভাবে প্রত্যাশা বেকার সমস্যার সমাধান এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগ  থাকবে। কিন্তু সেটি আমরা দেখতে পাইনি। গত এক বছরে ২৬ লাখ বেকার বেড়েছে। কর্মসংস্থান বাড়াতে যে ধরনের বিনিয়োগ বাড়ানোর দরকার ছিল সেরকম কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীলতা অব্যাহত রয়েছে। আগের আমলের মতোই ধারাবাহিকতা রয়েছে। নাহিদ ইসলাম বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে তেমন নতুনত্ব নেই। শিক্ষা খাতে ন্যূনতম জিডিপি ২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করছি, যেটা ১ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। একইভাবে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য খাতেও বরাদ্দ বাড়েনি। তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থায় আমাদের শুধু রাজনৈতিক কাঠামোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। গণঅভ্যুত্থানের পরে অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয় তখন বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ছিল। আমরা ব্যাংকগুলোর দুর্দশা দেখেছি, ঋণগ্রস্ত অবস্থা এবং লুটপাটের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল।

সেন্টমার্টিন নয়, এবার পর্যটকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছে ‘চর বিজয়’

সেন্টমার্টিন নয়, এবার পর্যটকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছে ‘চর বিজয়’

বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে জেগে ওঠা এক নান্দনিক দ্বীপ, নাম ‘চর বিজয়’। নীল জলরাশি, বালুময় তটরেখা, শতশত লাল কাঁকড়া আর অতিথি পাখির মনভোলানো কলতানে এখানে তৈরি হয়েছে এক স্বপ্নরাজ্য। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এ চরের সৌন্দর্য্য এখন পর্যটকদের নতুন গন্তব্য। চরের মাটি জুড়ে লাল কাঁকড়ার দল আপনাকে স্বাগত জানাবে এক বিশাল লাল গালিচা বিছিয়ে। আর নীল সমুদ্রজলে ভেসে বেড়ানো পরিযায়ী পাখিরা যেন নেমেছে স্বর্গ থেকে আপনাকে বরণ করে নিতে। এ যেন সত্যিই এক নিঃশব্দ, নিরিবিলি, নির্মল রূপকথার রাজ্য!

শিল্প খাত আরও চাপে পড়বে

শিল্প খাত আরও চাপে পড়বে

প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের কিছু পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও ব্যবসায়ীরা শিল্প উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার দেওয়া পৃথক পৃথক প্রতিক্রিয়ায় ব্যবসায়ীরা বলছে, প্রস্তাবিত বাজেটে শিল্প খাত আরও চাপে পড়বে। বাজেটের মাধ্যমে শুল্ক ও কর বাড়ানো হলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। অন্যদিকে, ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি অর্থনীতিতে একটি ক্রাউডিং আউট প্রভাব তৈরি করতে পারে, যার ফলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতির চাপ।  তারা আরও বলছেন, কিছু ইতিবাচক দিক সত্ত্বেও, বাজেটটিকে বেসরকারি খাতের পুনরুজ্জীবনের সুযোগ হিসেবে পুরোপুরি কাজে লাগানো হয়নি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, রপ্তানিকারক এবং স্টার্টআপদের জন্য নেই কার্যকর প্রণোদনা। তাই অধ্যাদেশ আকারে জারির আগে এসব বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।  বৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তাদের সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) বলছে, আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী কর-জিডিপির অনুপাত উন্নীত করতে গিয়ে করদাতাদের ওপর বাড়তি করের বোঝা চাপানোর সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। তবে বাজেটকে সঠিকভাবে বাবায়ন করতে হলে বাজেট ব্যবস্থাপনায় গতিশীলতা, করনীতি সংস্কার, করব্যবস্থার অটোমেশন, কর সংগ্রহে সামগ্রিক সিস্টেম লস কমানো এবং কর প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি তথা জনগণকে যথাযথ সেবা প্রদানের আরও সুযোগ রয়েছে বলে চেম্বার মনে করে।  প্রতিক্রিয়ায় এমসিসিআই আরও জানায়, ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার ফলে সরকার দুই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে; প্রথমত, ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি অর্থনীতিতে একটি ক্রাউডিং আউট প্রভাব তৈরি করতে পারে, যার ফলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে, যে চাপ শেষ পর্যন্ত বহন করতে হয় ভোক্তা বা জনগণকে। তাই এমসিসিআই এই দুই বিষয়ের মধ্যে যথাযথ সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে। এ ছাড়া ব্যাংকিং খাতের পুনর্গঠনের জন্য বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন বলে এমসিসিআই মনে করে। অপরদিকে, প্রস্তাবিত বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব নয় মন্তব্য করে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেছেন, এবারের বাজেটে রেভিনিউ আহরণকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে ধরা হয়েছে। তবে, করজাল বাড়ানোর কার্যকর কোনো দিকনির্দেশনা নেই। কর আদায়ের পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও করপোরেট ও ব্যক্তি খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এতে করে উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আনোয়ার-উল আলম বলেন, আইএমএফের ফর্মুলা অনুযায়ী বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে শিল্প খাত আরও চাপে পড়বে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ঘাটতি, উচ্চ সুদের হার ও আমদানি ব্যয় এমনিতেই শিল্পকে সংকটে ফেলেছে। এর মধ্যে আবার শুল্ক ও কর বাড়ানো হলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, রপ্তানিমুখী খাতের জন্য নগদ প্রণোদনা ক্রমান্বয়ে কমানো হচ্ছে, অথচ বিকল্প কোনো প্রণোদনা বা ফিসকাল সাপোর্ট রাখা হয়নি। কটন সুতা ও ম্যান-মেইড ফাইবারের ওপর ভ্যাট ৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা করায় দেশীয় স্পিনিং মিলগুলো বিপদে পড়বে এবং আমদানিনির্ভরতা বাড়বে। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) প্রস্তাবিত বাজেটের কয়েকটি ইতিবাচক দিকের প্র্রশংসা করেছে। এসব পদক্ষেপ হলো- করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি, জুলাই যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য তহবিল। এতে নি¤œআয়ভুক্ত মানুষ স্বস্তি পাবে। নারীর অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করবে। এ ছাড়া কাঁচামাল ও ওষুধে শুল্ক হ্রাস উৎপাদক ও ভোক্তা উভয়ের জন্য লাভজনক। আইবিএফবি বলছে, ইতিবাচক দিক সত্ত্বেও, বাজেটটিকে বেসরকারি খাতের পুনরুজ্জীবনের সুযোগ হিসেবে পুরোপুরি কাজে লাগানো হয়নি। কর প্রশাসন, ঋণ টেকসইকরণ এবং সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় কোনো মৌলিক সংস্কার দেখা যায়নি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, রপ্তানিকারক এবং স্টার্টআপদের জন্য নেই কার্যকর প্রণোদনা। খেলাপি ঋণ, সুদের হার সমস্যা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। আইবিএফবি অবাস্তব রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রাকে অবাস্তব হিসাবে মনে করছে। সংগঠনটি বলছে, রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা কার্যকর কর সংস্কার ছাড়া অর্জনযোগ্য নয়। প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্য নির্ধারণ আছে, কিন্তু বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেই। আইবিএফবি কর ব্যবস্থার সংস্কার, বেসরকারি খাতকে উদ্দীপনা প্রদান, ব্যাংকিং খাত সংস্কার,  খেলাপি ঋণ কমানো, সুশাসন নিশ্চিত করা ও কম সুদে ঋণ সহজলভ্য করা, সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার করা এবং সরবরাহ চেনের জটিলতা দূর করে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার সুপারিশ করেছে।  আইবিএফবি আশা করে, সরকার বেসরকারি খাত ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনবে। একটি সংস্কারমুখী, দক্ষতাভিত্তিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজেটই হবে বাংলাদেশের জন্য টেকসই উন্নয়নের সোপান। গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক-করহার পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়েছে গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। এক প্রতিক্রিয়া বারভিডা নেতৃবৃন্দ জানান, দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় কর ছাড়সহ যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। কৃষি খাতে প্রণোদনার পাশাপাশি কৃষিযন্ত্র আমদানিতে অগ্রিম কর এবং উৎপাদনে ভ্যাট তুলে দেওয়ার প্রস্তাব সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের বার্ষিক টার্নওভার ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে প্রস্তাবিত বাজেটের সঠিক বাস্তবায়নে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে বিনিয়োগ, উৎপাদন, কর্মসংস্থান এবং কাক্সিক্ষত রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাপনায় সৃজনশীল পদক্ষেপ গ্রহণ বিশেষ জরুরি বলে বারভিডা জানিয়েছে।

অর্থনীতি সঠিক জায়গায় ফেরানো হচ্ছে

অর্থনীতি সঠিক জায়গায় ফেরানো হচ্ছে

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে উপদেষ্টারা বলেছেন, পূর্বের যেসব জঞ্জাল পেয়েছি, সেগুলো আগে পরিষ্কার করতে হচ্ছে। পূর্ববর্তী সরকারের সময় নেওয়া সব প্রকল্পেই দুর্নীতি হয়েছে, তারপরও আমরা সব ক’টি বাদ দিতে পারিনি। নিত্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনায় গড়ে উঠেছিল অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট।  এসব সমস্যা তো একদিনে মিটিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। তবে মেঠোপথ পেরিয়ে মহাসড়কে ওঠার যাত্রা শুরু হয়েছে মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যে পদচিহ্ন রেখে যাব (ফুটপ্রিন্ট) আশা করছি- পরবর্তীতে যারা আসবে তারা সেটা বাস্তবায়ন করবে। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দাবি করেছেন, এটা সম্পূর্ণ বাস্তবায়নযোগ্য, বাস্তবসস্মত ও মিতব্যয়ী বাজেট।