ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

Hotel ad
Hotel ad
adbilive
adbilive
শহীদ রিহানের পরিবারের সাথে জামায়াত আমিরের ঈদ কুশল বিনিময়

শহীদ রিহানের পরিবারের সাথে জামায়াত আমিরের ঈদ কুশল বিনিময়

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ কুশল বিনিময় করেন সম্মানিত আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার (৩১ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাতে তিনি শহীদের বাসায় যান। আমীরে জামায়াত শহীদ নাসিব হাসান রিহানের বাবা-মা, ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের সাথে ঈদ কুশল বিনিময় করেন। তিনি শহীদ পরিবারের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন এবং মহান আল্লাহর দরবারে শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং জামায়াত নেতা আব্দুল আউয়াল আযমসহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

ডোরিভালের ব্রাজিল অধ্যায় সমাপ্তি

ডোরিভালের ব্রাজিল অধ্যায় সমাপ্তি

আরও আগে থেকেই গুঞ্জন চলছিল। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে ব্রাজিলের লজ্জাজনক পরাজয়ের পর সেই গুঞ্জন তো প্রায় নিশ্চিতই হয়ে যায়; যে কোনো মুহূর্তেই বরখাস্ত হতে যাচ্ছেন ডোরিভাল জুনিয়র। অবশেষে শুক্রবার রাতেই চলে আসে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। বাজে পারফরমেন্সের কারণেই ডোরিভাল জুনিয়রকে বরখাস্ত করেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।  ফলে ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিশ্বকাপের প্রায় ১৪ মাস আগেই ছাঁটাই হয়েছেন ডোরিভাল। এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো ব্রাজিল দলে তার প্রায় ১৪ মাসের অধ্যায়ও। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের  কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল সেলেসাওরা। কাতার বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পরই দায়িত্ব ছাড়েন সেই সময়ের কোচ তিতে।  এরপর অনেক নাটকীয়তার জন্ম দিয়েই নেইমার-ভিনিসিয়াসদের কোচ হিসেবে আবির্ভূত হন ডোরিভাল।

৮০০ বছরেও কেন খুঁজে পাওয়া যায়নি চেঙ্গিস খানের কবর?

৮০০ বছরেও কেন খুঁজে পাওয়া যায়নি চেঙ্গিস খানের কবর?

চেঙ্গিস খান— ইতিহাসের অন্যতম প্রতাপশালী সম্রাট, যিনি মাত্র ৪৫ বছরের মধ্যে গড়ে তুলেছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একক সাম্রাজ্য। তার জীবন যেমন রহস্যময়, তেমনই মৃত্যু এবং কবরও ঘিরে রয়েছে অজস্র কল্পকাহিনি ও বিতর্ক। প্রায় ৮০০ বছর ধরে ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিকরা তার চিরনিদ্রার স্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা করে গেলেও আজও তার প্রকৃত সমাধিস্থল অধরাই রয়ে গেছে। চেঙ্গিস খানের মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রচলিত রয়েছে একাধিক মত। কেউ বলেন, তিনি শত্রুপক্ষের বিষ পান করে মারা গিয়েছিলেন, আবার কারও দাবি, এক চীনা রাজকুমারী তাকে এমন কৌশলে হত্যা করেন, যা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। অন্য একটি মতানুসারে, তিনি বুনো ঘোড়া ধরতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হন, কিংবা শিকারের সময় বুনো শুকরের আক্রমণে গুরুতর জখম হন এবং ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করেন। তবে নিশ্চিতভাবে জানা যায়, তিনি চীনের শিয়া সাম্রাজ্য দখলের সময়ই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার কবর গোপন রাখার পরিকল্পনাও ছিল অভিনব। ইতিহাস বলে, তার কফিন বহনকারী সৈন্যরা পথে যাকে দেখেছে, তাকেই হত্যা করেছে, যেন কেউ তার শেষ ঠিকানার সন্ধান দিতে না পারে। যখন নির্দিষ্ট স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়, তখন এক হাজার ঘোড়া দিয়ে সেই স্থান সমান করে দেওয়া হয়। কেউ কেউ মনে করেন, তার কবরের ওপর দিয়ে নদীর প্রবাহ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে কবরের কোনো চিহ্ন না থাকে। এখানেই শেষ নয়। কথিত আছে, কবর দেওয়ার পর সেই সৈন্যদেরও হত্যা করা হয়, যাতে তারা কারও কাছে কবরের অবস্থান ফাঁস করতে না পারে। এরপর দ্বিতীয় দফায় হত্যাকাণ্ড চলে, যেখানে তাদের হত্যাকারীদেরও নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়। ফলে চেঙ্গিস খানের চিরনিদ্রার স্থান আজও এক রহস্য। শত বছর ধরে প্রত্নতাত্ত্বিক ও গবেষকরা নানা উপায় অবলম্বন করেও চেঙ্গিস খানের কবরের সন্ধান পাননি। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক পর্যন্ত স্যাটেলাইট ব্যবহার করে সম্ভাব্য স্থানগুলো চিহ্নিত করে, যেখানে কয়েকটি প্রাচীন কবর খুঁজে পাওয়া গেলেও, চেঙ্গিস খানের কবর পাওয়া যায়নি। আরেকটি বড় বাধা হলো মঙ্গোলিয়ানদের বিশ্বাস ও ঐতিহ্য। চেঙ্গিস খানকে তারা আজও তাদের মহানায়ক বলে মনে করেন, ফলে তারা চান না তার কবর কেউ আবিষ্কার করুক। এমনকি যেখানেই তার কবর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই বুরখান খালদুন পাহাড় জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত হয়েছে, যার ফলে সেখানে খননকার্য পরিচালনাও নিষিদ্ধ। চেঙ্গিস খানের কবর নিয়ে কেবল গবেষণাই নয়, প্রচলিত রয়েছে নানা কুসংস্কারও। কথিত আছে, তার কবর আবিষ্কার হলে পৃথিবীতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। এই বিশ্বাস আরও শক্ত হয়, যখন তৈমুর লং-এর কবর খোলার পরপরই জার্মানি সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর হামলা চালায় এবং শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ৮০০ বছর পার হয়ে গেলেও চেঙ্গিস খানের কবর আজও রহস্যময়। গবেষণা ও প্রযুক্তির অগ্রগতির পরও কি তার সমাধির সন্ধান মিলবে? নাকি ইতিহাসের এই ভয়ংকর যুদ্ধবীর চিরকালই রয়ে যাবেন অজানা গন্তব্যে? এই প্রশ্নই রয়ে গেছে বিশ্ববাসীর মনে। ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/7T3jegJCWQc?si=oyQWfG1IiCUN0ep3

শেষ মুহূর্তে রাজধানীর সব আউটলেটে জমজমাট বেচাকেনা

শেষ মুহূর্তে রাজধানীর সব আউটলেটে জমজমাট বেচাকেনা

শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটায় ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি ও টি-শার্ট কিনতে আউটলেটগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে আড়ং, ইজি, কান্ট্রি বয়, লারিভ কোম্পানির নামডাক বেশি শোনা যাচ্ছে। সবগুলো আউটলেটেই জমজমাট বেচাকেনা। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক দিতে পেরে খুশি বিক্রয়কর্মীরাও। শনিবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি আউটলেট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। দেশব্যাপী পরিচিত পোশাকের ব্র্যান্ড আড়ংয়ের শো রুমে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। শাড়ি, পাঞ্জাবি, ছোট বাচ্চাদের বাহারি পোশাক পাওয়া যায় এই আউটলেটে। মগবাজার শাখার বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘এবারের ঈদে আমাদের এই আউটলেটে বেচাকেনা অনেক ভালো। ইতোমধ্যে আমাদের পাঞ্জাবি স্টক আউট হয়ে গেছে। নতুন করে আবার আসছে।’ আড়ংয়ে  ‘পাঞ্জাবি ছাড়াও ছোট বাচ্চাদের অনেক রকম পোশাক রয়েছে। রয়েছে শাড়ি। ১ হাজার ৩০০ থেকে শুরু করে লাখ টাকার ওপরে শাড়ির কালেকশন রয়েছে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো।’ আড়ং থেকে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্য ও ভালো মানের পোশাক পায় এ কারণে চাহিদা বেশি থাকে। আড়ংয়ে পোশাক কিনতে আসা বেসরকারি এক ব্যাংকের কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের পছন্দের তালিকায় আড়ং সবার ওপরে থাকে। এ কারণে এখানে এসেছি। আজকে প্রথম ঈদ শপিং করতে বের হয়েছি। এখান থেকে আমি ও আমার ছেলের জন্য পাঞ্জাবি কিনব। আড়ংয়ের পাঞ্জাবি আমার কাছে অনেক পছন্দের। ঈদে সাধারণত আড়ং থেকে পাঞ্জাবি কিনে থাকি। তাই এবারও আসছি।’ আড়ংয়ের বিপরীতে আরেক ব্র্যান্ডের আউটলেট কান্ট্রি বয়। সেখানে দেখা যায় ক্রেতাদের অনেক ভিড়। এই আউটলেটের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) বাপ্পি দাস বাংলা বলেন, ‘এবারের ঈদে কেনাবেচা খারাপ না। ভালোই চলছে। তবে অন্যান্য ঈদের তুলনায় কিছুটা কম মনে হচ্ছে। তবে যেহেতু এখনো সময় আছে বিক্রি আরও বাড়বে।’ বাপ্পি বলেন, ‘আমাদের এখানে শার্ট, ছোট বাচ্চাদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।’ সারা ব্র্যান্ডের আউটলেটে দেখা যায় নানা রকমের পাঞ্জাবি, শার্ট, মেয়েদের বাহারি পোশাক। কথা হয় বিক্রয়কর্মী বখতিয়ারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পাঞ্জাবি বেশি চলছে। বিশেষ করে গ্রামীণ চেকের পাঞ্জাবিগুলোর কাটতি অনেক বেশি। ছোট-বড় সব রকমের কালেকশন রয়েছে।’ বখতিয়ার বলেন, ‘পাঞ্জাবির পাশাপাশি শার্টও ভালোই চলছে।’

১১ প্রভাবশালী পরিবার বেশি অর্থ পাচারে জড়িত

১১ প্রভাবশালী পরিবার বেশি অর্থ পাচারে জড়িত

বাংলাদেশ থেকে ঠিক কত টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব না দিতে পারলেও অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে ২৫ বিলিয়ন ডলার ফেরতের জোরালো প্রচেষ্টা শুরু করেছে। এ সরকারের দাবি আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার করেছে। তবে বেশিরভাগ অর্থ পাচার করেছে ১১টি প্রভাবশালী পরিবার। এদেরকে টার্গেট করে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শুক্রবার ‘বাংলাদেশ আপ এগেইন্টস টাইম টু ফাইন্ড স্টোলেন বিলিয়নস : সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অনলাইন আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটির ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিটকে (আই-ইউনিট) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। আল-জাজিরা প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, প্রভাবশালী এ ১১ পরিবারের বিরুদ্ধে গত এক দশক ধরে ব্রিটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে কোটি কোটি ডলার পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। যাদের সম্পদের সন্ধানে ১১টি বিশেষজ্ঞ দলও গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রশ্নবিদ্ধ এ সম্পদের পরিমাণ আঁতকে ওঠার মতো।