কলকাতার মেয়ে মোহিনী দে। বয়স ২৯। এআর রহমানের সঙ্গে দেশে-বিদেশে প্রায় ৪০ টি শোয়ে পারফর্ম করেছেন তিনি। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে নিজের অ্যালবামও প্রকাশ করেছেন। শোনা যায়, রহমানের খুবই পছন্দের শিল্পী তিনি।
সোশাল মিডিয়ায় এ আর রহমানের বিচ্ছেদ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই রহমানের সহশিল্পী মোহিনী দে-ও স্বামী ম্যাকের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন। নেটপাড়া এই দুই ঘটনার মধ্যেই যোগ খুঁজে পেয়েছেন। এমনকি, রটেছে মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়ার কারণেই রহমানের এই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত। রহমান ও মোহিনীকে জড়িয়ে বিতর্ক শুরু হতেই এবার মুখ খুললেন রহমানের প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানালেন, এসব বিতর্কের কোনও অর্থ নেই। মোহিনীর ডিভোর্সের সঙ্গে রহমানে ও সায়রার ডিভোর্সের কোনও সূত্র নেই। এটা তাদের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালে
এখানেই শেষ করলেন না আইনজীবী বন্দনা। তার কথায়, দীর্ঘ বিবাহিত জীবনই ওঠা-পড়ার মধ্যেদিয়ে এগিয়ে চলে। আমি খুবই খুশি তারা খুব সচেতনভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিচ্ছেদ একেবারেই খারাপ বৈবাহিক জীবনের ফল নয়। সায়রা ও রহমান দুজনেই দুজনকে সম্মান করেন।
বুধবার রহমান ডিভোর্স ঘোষণা করার পর পরই মোহিনীও তার ডিভোর্স ঘোষণা করে লিখেছিলেন, হৃদয়ে খুবই বেদনা নিয়ে এটা জানাচ্ছি, যে মার্ক এবং আমি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই বিচ্ছেদ একেবারেই দুজনের সিদ্ধান্ত। দুজনে আলাদা হলেও, আমরা খুব ভালো বন্ধু থাকব। এবং ম্যাকের সঙ্গে কাজেও যুক্ত থাকব। আমরা দুজনেই মিলে অনেকগুলো প্রজেক্টে কাজ করছি। সেটা সফলভাবেই শেষ হবে। আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানান আপনারা, এটাই সবার কাছে চাইবো।
১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গিয়েছে।
বিয়ের এত বছর পর আচমকা কেন বিচ্ছেদের পথে হাটলেন রহমান ও সায়রা? এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে এক্স হ্যান্ডেলে রহমান নিজের ও সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেছেন। যাতে জানানো হয়, দাম্পত্যের ত্রিশ বছরের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল রহমান ও তার স্ত্রীর। কিন্তু তা হল না।